বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র মতে স্বাস্থ্যবিধি হলো এমন এক ধরনের পরিবেশ বা চর্চা যা রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
শ্রমিকদের জন্য খাবার পানিয়ের গুরুত্ব
পানির অপর নাম জীবন। প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি খাওয়া আমাদের প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কম পানি খাবার ফলাফল
পর্যাপ্ত পরিমান পানি না খেলে আমাদের শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে পানি শূন্যতা, মাথাঘোরা, মাথা ব্যথা, বমিবমি ভাব, পেশাবের জ্বালাপোড়া, ইউটিআই বা মূত্রাশয়ের সংক্রমণ।
কেমন পানি আমরা পান করবো!
আমরা জানি পানিই জীবন, তবে সে পানি অবশ্যই বিশুদ্ধ হতে হবে। পানি যদি বিশুদ্ধ না হয় তাহলে পানি আমাদের মরণ ডেকে আনতে পারে। কাজেই পানি হতে হবে জীবাণুমুক্ত, বিশুদ্ধ, পান করার উপযোগী। প্রতিবছর কমপক্ষে একবার সরকারের জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর বা সরকার অনুমোদিত কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্যাক্টরির খাবার পানি পরীক্ষা করাতে হবে।
খাবার পানি রাখার স্থান
যেসব স্থানে খাবার পানি রাখা হবে সেসব স্থানে এবং আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর রাখতে হবে। তা নাহলে পানিবাহিত রোগের সংক্রমণ হতে পারে।
পানিবাহিত রোগ
পানিবাহিত রোগ কি? যেসব রোগ পানির মাধ্যমে আমাদের শরীরে ছড়ায় সেগুলোকে পানিবাহিত রোগ বলা হয়। যেমনঃ আমাশয়, পেটের পীড়া, আর্সেনিক, চর্মরোগ, এমনকি কলেরা, টাইফয়েড এবং হেপাটাইসিস।
খুব গরমের সময় খাবার পানির ব্যবস্থা
সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশী তাপমাত্রা হলে ফ্যাক্টরীতে প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য চিনি বা গুড়ের শরবতের ব্যবস্থা করতে হবে। একজন শ্রমিকের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা করতে হবে।
ফ্যাক্টরীতে ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা
খুব গরমের সময় ফ্যাক্টরীতে ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী যদি কোন ফ্যাক্টরীতে ২৫০ জনের অধিক শ্রমিক কর্মরত থাকে তাহলে ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফ্যাক্টরীতে ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।